পাকা কলা খাওয়া ২১টি উপকারিতাআমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকেই জানে না। প্রত্যেকটি মানুষের জানা দরকার যে আমলকি খেলে কি কি উপকার হয় বা কি কি অপকার রয়েছে। আমলকী কে আয়ুর্বেদিক উপাদান বলা যেতে পারে। এটা খাদ্য ও ঔষধ উভয়ই। এই ছোট ফলটি স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন উপকারী তেমনি অপকারি।
তাই আজকের এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাই আমলকী খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা হচ্ছে এই ছোট্ট ফল টি আপনাকে দেবে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ১০০% নিশ্চয়তা। চলুন জেনে নেই আমলকির বিশেষ কিছু উপকারিতা। আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। এছাড়াও কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা বেদনায় আমলকি অনেক উপকারী। তাই আমলকি খাওয়ার বিকল্প নেই। চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারী আমলকি। এতে প্রচুর ফাইটো রয়েছে যা চোখের ডিজেনারেশন রোগ প্রতিরোধ করে।
আমলকি, যা আমলকী বা আমলা নামেও পরিচিত, একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এটি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা দেওয়া হলো:
ভিটামিন সি-এর উৎস: আমলকি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সরবরাহ করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: আমলকিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ফ্রি র্যাডিকাল দূর করতে সাহায্য করে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করে।
হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে: আমলকি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
চুল ও ত্বকের যত্ন: আমলকি চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
রক্ত শুদ্ধিকরণ: আমলকি রক্ত শুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের সমস্যাগুলি কমাতে সহায়ক।
আমলকি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এটি আপনার খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এছাড়া, এটি সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়, যা এটিকে আরও মূল্যবান করে তোলে।
আমলকি খাওয়ার অপকারিতা
আমলকী খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা হচ্ছে অতিরিক্ত আমলকী খেলে গলা দিয়ে টকভাব ওঠা গ্যাসের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়। আমলকীতে থাকা ফাইবার অনেক সময় কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে আমলকী জুস করে খাওয়ার চেয়ে চিবিয়ে খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত আমলকী খেলে পায়খানা কষা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। যে কোন জিনিস খুব বেশি খাওয়া ভালো না। প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া সমস্যা থাকলে আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে খেলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
শীতের সকালে বা দুপুরে আমলকীতে কামড় দেওয়ার লোভ অনেকেই সামলাতে পারেন না। আয়ুর্বেদ মতে এর নানা গুরুত্ব রয়েছে কিন্তু যে কোনো জিনিস বেশি খাওয়া উচিত নয়। সেটা যত উপকারি খাদ্য হোক না কেন। আমলকি একটি শক্তিশালী কার্ডিওভ্যাস কুলার জাতের মেডিসিন তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা আমলকী কম খাওয়া ভালো। আমলকী বেশি খেলে লিভারে এসজি পিটি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির সমস্যায় বহুদিন থেকে ভুগছেন, তারা আমলকী কম খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত আমলকী খেলে তাদের শরীরে সোডিয়াম এর মাত্রা বেড়ে যায়। সেহুতু, কিডনির সমস্যায় কষ্ট পেলে আমলকী কম খাওয়াই ভালো। আমলকি সকলের জন্য মোটেই ভালো নয় হতে পারে বিপদও। তাই এই ফলটি খাওয়ার আগে ভেবে খান। নইলে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
আমলকী করে কী ?
আমলকী করে কী জানতে হলে এই অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। টক আর তেতো স্বাদে মিশ্রণের এই আমলকী গুণে মানে অতুলনীয়। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পাশাপাশি সর্দি কাশি ঠেকাতেও সাহায্য করে। আমলকির জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে এটি শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে শরীরে কোলস্টের এর মাত্রা কমে থাকে। এবং অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কারণে হৃদ্যন্ত্র ভালো থাকে।
আমলকীর সঙ্গে জাম আর করলা মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিসের উপকার পাওয়া যায়। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ ও চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা আমলকী জুসের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর নির্যাস মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। যাঁরা চোখের সমস্যার ভুগছেন বা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে চান, তাঁরা সকালে খালি পেটে আমলকির জুস খেতে পারেন। সকালে ২০ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম আমলকীর জুস এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া এর সঙ্গে কিছুটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে রুচি বাড়ে।
আমলকীর জুসের সঙ্গে জাম আর করলা কে একসাথে মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। যারা অনেক দিন থেকে উচ্চ রক্তচাপ সহ চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা আমলকীর জুসের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর নির্যাস মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন। এবং, যারা চোখের সমস্যার ভুগছেন তারা ঘুমানোর আগে আমলকীর জুস খেতে পারেন এতে করে আপনার সমস্যা গুলোর সমাধান পাবেন। আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটাই অপরিসীম।
আমলকি খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আমলকি খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাই আপনি যদি আমলকি খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চান তাহলে এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আমলকি খাওয়া খুবই উপকারী ফল মনে করলেও এটির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ ফলটির নয়। যেমনি উপকারী দিক রয়েছে ঠিক তেমন ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তাই এই ফলটি সবার জন্য উপকারী তাহলে এই ফলটি আপনার জন্য কেমন জেনে নিন।
যাদের গ্যাসের সহ হজমের সমস্যা আছে এবং পেটে সহজে অ্যাসিড তৈরি হয় সে ব্যক্তিদের আমলকি থেকে দূরে থাকায় ভালো। কারণ, এই আমলার টক ভাব এতটাই প্রবল যে এটি পেটে অ্যাসিডিটি তৈরির কাজ করতে পারে। সর্দি কাশির সমস্যা থাকলে আমলকিতে ঠান্ডা ভাব রয়েছে। যার কারণে সর্দি কাশির ধাঁচ থাকলে এটি খেলে এই সমস্যা বাড়তে পারে। হার্টের জন্য ক্ষতিকর এটি একটি শক্তিশালী মেডিসিন কার্ডিওভাস কুলার এর অংশ। কিন্তু, আমলকি আপনার হৃদয়ে কোনও কঠোর প্রভাব পড়ে না।
আমলকি খাওয়ার ফলে কিছু লোকের অ্যালার্জি ও চুলকানি এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের লোকদের আমলকি খাওয়া উচিত নয়। তাই উপরোক্ত সমস্যা গুলো যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে হলে আপনার জন্য আমলকি খাওয়া উচিত নয়। আশাকরি আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমলকীর সুবিধা
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমলকীর সুবিধা কেমন তা জানতে এই অনুচ্ছেদটি ভালো ভাবে পড়ুন। চোখের সমস্যার জন্য মধুর সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয়। গবেষণায় করে পাওয়া গেছে এটি চোখের ভিতরের চাপকে হ্রাস করে এবং দূরের জিনিস দেখতে পায় পাশাপাশি ছানি পড়তে দেয় না। ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনিক মেলাননিক রাতকানা রোগ থেকে হেফাজত করে এবং আপনার দৃষ্টিকে শক্তিশালী করে।
ডায়াবেটিসের জন্য আমলা বিচ্ছিন্ন কোষ গুলো কে বাড়িয়ে তোলে যা হরমোনটি ইনসুলিনকে বেরতে দেয় না এবং ডায়াবেটিসে রক্তের চাপকে হ্রাস করে এবং শরীরকে সুষম ও সুস্থ রাখে। এতে উপস্থিত ক্রোমিয়াম শরীরের এলডিএল কোলেস্টেরল কে কমায় যা হৃদগত স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহৃত হয় যা বিটা ইনহিবিটার এর প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে। সেহেতু আমলকী খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন।
আমলকি প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। আমাদের কিডনি সুস্থ, মূত্রাশয় সংক্রমণ এবং গর্ভাবস্থায় সংক্রমণ রাখতে আমলকী খুব উপকারী একটি ফল। মাসিক ঋতুচক্রের জন্য আমলকি তে উপস্থিত কিছু খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন মাসিক ঋতুচক্রের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একত্রিত ভাবে উপকার করে।বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এবং আমলকি শরীরের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে শরীরে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত হাইপারলিপি ডেমিয়া বন্ধ করে।
আমলকীর ভেষজ গুণ সমূহ
আমলকীর ভেষজ গুণ সমূহ একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ুর্বেদিক ওষুধ। আমলকীর ফল ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এটি মূত্রবর্ধক বায়ুজনিত রোগ এর ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এবং যে কোন কারণেই হোক ঘুম না হলে, পেট ফাঁপা বা অম্ল নিরাময়ে ও চোখ ওঠা রোগে ও পিত্ত বেদনায় ও বমি বন্ধ করতে ও শ্বেতপ্রদর রোগ সমস্যায় কাজ করে। তাই আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা এর জন্য ভেষজ গুন সমূহ জানা প্রয়োজন। আমলকীর খাওয়ার জন্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যয় জানতে হবে।
আমলকীর ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। যেমন আমলকীর ফল ও পাতা দুটিই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। পুষ্টি বিজ্ঞানদের মতে আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ থেকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। তাই স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকী ফলের কোন বিকল্প নেই।
এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক রোগের জন্য খুব উপকারী একটি ভেষজ ওষুধ। যাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সহ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে আমলকী খুব খুব উপকার করে থাকে। তাই আমলকীর গুণা গুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধে এখন আমলকীর কে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আমলকি খেলে যাদের সমস্যা হতে পারে
আমলকি খেলে যাদের সমস্যা হতে পারে তাদের ব্যাপার গুলো জেনে নিন। এটি একটি ছোট্ট ফল। একটু কষ ও তেঁতো ভাব থাকলেও আমলকি খাওয়ার পর মিষ্টি লাগে। কমলার চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে এতে। এরপরেও কিছু কিছু মানুষ আমলকি খেলে তাদের সমস্যা হতে পারে। চলুন জেনে নিই তাদের কি কি সমস্যা থাকলে ওদের আমলকি খাওয়া ঠিক নয়।
সার্জারি করলে আমলকি খাওয়া বাদ দিন। কারণ, এতে ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ খেতে হয়। সেক্ষেত্রে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়া উচিত। ছোট্ট সন্তানের মা সহ স্তন্যদান কারী মায়েরা আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমলকি খেলে বাচ্চার ঠান্ডার সমস্যা হতে পারে। এ ফল শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে দেয়। তাই প্রচুর পরিমাণে আমলকি খেলে জ্বর সর্দি বা কাশি হতে পারে।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বেশি মাত্রায় আমলকি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুণ। বিশেষজ্ঞ দের মতে হৃদরোগের সমস্যা থাকলে আমলকী খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও, আমলকির প্রভাবে অ্যালার্জি সহ পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা হতে পারে। আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটা সমান তাই সতর্ক থাকুন সুস্থ থাকুন।
গর্ভাবস্থায় আমলকী খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় আমলকী খেলে কি হয় কি হয় তা জানতে ভালোভাবে পড়ুন। আমলকীর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। আমলকীর জুস গর্ভবতী অবস্থায় খেলে তার পেটের শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় হবু মা কে আমলকী খেতে বলা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় আমলকী খেলে: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং মায়ের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মায়ের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়ক। আমলকী হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, যা গর্ভাবস্থায় সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখা দেওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে আমলকী সহায়ক এবং এটি মায়ের ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। এছাড়া, আমলকী প্রাকৃতিক ভাবে রক্ত শুদ্ধ করতে সাহায্য করে, যা মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
গর্ভাবস্থায় হাত পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি লক্ষণ। তাই আমলকী খেলে এ সমস্যা গুলোর সমাধান মিলবে। কারণ, আমলকীতে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান দেহকে হাইড্ৰেট রাখতে সহয়তা করে। তাহলে আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে ব্যাবহার করুণ।
সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেলে যা হয়
সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা সমাধান হয়। খালি পেটে শুধু আমলকি নই যে কোন ফলের জুস খেলে শরীর ঠিক থাকে। সারাদিন মনটা ফুরফুরা থাকে যার কারণে যে কোন কাজ করার সময় একটা দৈহিক শক্তি বাড়ে। এছাড়া আমলকিতে রয়েছে একটি ভেষজ উপাদান যার জন্য শরীরে একটি অন্যরকম শক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন সকালে আমলকি ফলের জুস খাওয়া অভ্যাস করুন এতে আপনার অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে।
সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এবং রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে আমলকির রস খাওয়ার অভ্যাসে পুষ্টির উপাদান বাড়ে। এবং ভালো শোষণে সাহায্য করে। বিশেষ করে ভিটামিন সি শোষণে এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। পেট খালি থাকলে পুষ্টির শোষণের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কম পদার্থ থাকে। পাশাপাশি শরীর কে নির্দিষ্ট পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে।
আমলকী তে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এবং এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য পরিচিত। যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো রাখে। তাই সুস্থতার জন্য সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন। সেহুতু, আপনি আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন।
আমলকির ঔষধি গুনাগুন
আমলকির ঔষধি গুনাগুন গুলো অনেকেই জানেনা। আপনি যদি জানতে চান তাহলে এই অংশটি মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে পড়ুন। আমলকির ঔষধি গুনাগুন গুলোর একটি হচ্ছে এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায়। এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও মাথাব্যথা, অম্ল,রক্ত শূন্যতা, বমিভাব দূর করতে সহয়তা করে।এছাড়াও আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে। আমলকী খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক জেনে এর ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার করুন।
আমলকীতে সলিউবল ফাইবার থাকে। এটি শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে এবং হজমে সাহায্য করে। আমলকীর রস কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে এবং পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পেতে আবোডাণ রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে আমলকিতে পলিফেনল রয়েছে যা রক্তে অক্সিডেটিভ শর্করা থেকে শরীর মুক্তি দেয়। এটি শরীরে ইনসুলিন শুষে নিতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় সহ শরীরের যে কোন হাড়ের জয়েন্ট কে মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি দামে যেমন সস্তা ও তেমনি এর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা তাই আমলকি খাওয়া কোন বিকল্প নেই। তাহলে আশাকরি আমলকীর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
শেষ কথা
মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির কল্যাণে দুনিয়ায় অগণিত জিনিস সৃষ্টি করেছেন। এরকম কোটি কোটি সৃষ্টির মধ্যে মানব দেহের জন্য খুবই উপকারি ও ঔষুধি গুণে ভরপুর একটি ফলের নাম আমলকি। দেশীয় ফল হিসেবে আমলকি সবার কাছেই পরিচিত। আমলকি খাওয়া এবং এর গাছের ছাল ও পাতা ব্যবহার করার কোন বিকল্প নেই এটি একটি উপকারী বস্তু তাই আল্লাহর এই নিয়ামত খান এবং ব্যবহার করেন এবং মহান আল্লাহ শুকরিয়া করেন।
এছাড়া বিজ্ঞানীদের মতে যে কোন ফলমূল খেলে দেহের শক্তি যোগায়। সেখানে আমরা উপরোক্ত অংশে পড়ে এলাম আমলকিতে বেশি ভিটামিন রয়েছে তাই আমলকি খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং অন্যান্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই ফল খান দেহের শক্তি বাড়ান। ২৮৯২৬
Articulate Avenue privacy Policy; check your comments
comment url