অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার আবেদন কিভাবে করবেন?
অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার আবেদন কিভাবে করবেন?
পরিবেশ নিরাপত্তা যোগাযোগ ব্যবস্থা জীবন যাত্রার মান শিক্ষা চিকিৎসা ইত্যাদির বিষয়ে বিবেচনায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে দ্বীপের দেশ অস্ট্রেলিয়া পছন্দের কাতারে প্রথম দিকে থাকে সবসময়ই। এমন একটি দেশ যেখানে মানুষ যে কোন ভিসায় যেতে আগ্রহী। তবে আজকের ব্লগটি তাদের জন্য যারা অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসায় যেতে চান। তাই আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন যে কাজের ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যাবেন তাহলে ব্লকটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে আশা করি অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য একটি ব্লগের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।
এই ব্লগটিতে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদনের নিয়ম বেতন কি কি কাজ করতে পারবেন এবং কিভাবে আবেদন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করেন এবং সমস্ত ডকুমেন্ট সঠিকভাবে জমা দেন এবং অন্যান্য কার্যক্রম তাদের নির্দেশনা মোতাবেক করে থাকেন তাহলে তথ্যসমূহের মধ্যে আশা করি আপনার ভিসার সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং আপনি ভিসা হাতে পাবেন।
সর্বশেষে একটা ব্যাপার জানার থাকলে সেটা হলো বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত টাকা লাগবে।
তবে ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো বিশ্বস্ত মাধ্যম বা সরকার এজেন্সির মাধ্যমে সবসময় ভিসার আবেদন করবেন এবং আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইন মাধ্যমিকে বেছে নিবেন এতে আপনার ভোগান্তি এবং খরচ দুইটাই কমবে।
এই ব্লগটিতে অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা আবেদনের নিয়ম বেতন কি কি কাজ করতে পারবেন এবং কিভাবে আবেদন করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য কি কি ভিসা রয়েছে?
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসায় যেতে আগ্রহী মানুষের অভাব নেই। আসলে অস্ট্রেলিয়া এমন একটি দেশ যেখানে অভিবাসন প্রত্যাশীদের যাওয়ার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা সব সময় রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য কি কি বিষয় প্রদান করে থাকে। অবশ্য দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাবার মাত্র চারটি ভিসা রয়েছে।স্টুডেন্ট ভিসা
উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তুমুল আকাঙ্ক্ষা দেখা যায়। স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে মূলত একজন ছাত্রকে অনার্স এবং মাস্টার্স করার সুযোগ দেয়া হয়। কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে আইলস পরীক্ষায় ভালো করতে হবে। কম খরচে অস্ট্রেলিয়া যেতে চাইলে আইএলটিএস ভালো স্কোরের কোন বিকল্প নেই।টুরিস্ট ভিসা
সৌন্দর্যের দিক বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়ার সৌন্দর্য যে কোন পর্যটককে মুগ্ধ করতে বাধ্য। তাইতো অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক সেখানে যেয়ে থাকে। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় ঘোড়ার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হবে। সাধারণত তিন লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা( আনুমানিক) খরচ হতে পারে। তাই আপনার যদি তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা বাজেট থাকে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন চমৎকার সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং দ্বীপের দেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে।মেডিকেল ভিসা
অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট স্বনাম রয়েছে তাই বিশ্বের অনেক দেশের লোকই চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যেয়ে থাকেন। অন্যদিকে আপনি অস্ট্রেলিয়ার উন্নত হসপিটাল গুলোতে নার্সিং সেবা প্রদান করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল হিসাব পেতে হলে মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
অস্ট্রেলিয়া যাবার জনপ্রিয় ভিসার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অন্যতম। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে আপনি কৃষি ক্লিনিং কনস্ট্রাকশন ইলেকট্রিসিটি বাগান শ্রমিক ড্রাইভিং ডেলিভারি ম্যান ইত্যাদি পেশায় নিযুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।অস্ট্রেলিয়ার কৃষি ভিসার বেতন কত?
কৃষি কাজের দিকে বিবেচনা করলে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় কৃষক শ্রমিকের চাহিদা অনেক বেশি। এবং অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক কৃষক শ্রমিক প্রতিবছর নিয়োগ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের মতো নিম্নয়ের দেশের থেকে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়ায় কৃষি বিষয়ে গমন করে থাকে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে কৃষি শ্রমিকদের অস্ট্রেলিয়া সরকার বিভিন্ন রকম আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা এবং উচ্চ অংকের বেতন দিয়ে থাকে। কৃষক শ্রমিকের বেতন প্রায় তিন থেকে ছয় লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে কৃষি ভিসায় অস্ট্রেলিয়া গিয়ে আপনি যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে সম্ভব না।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ান ভিসার আবেদনের দুটি উপায় রয়েছে, তা হলোঃ
অনলাইনে আবেদন
আমরা সবাই এখন যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন অপশন খুঁজি। ভিসা পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রেও এর বিকল্প নয়। আমরা এখন খুব সহজেই ঘরে বসে কিংবা আশেপাশের কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে সহজেই অনলাইনে মাধ্যমে যে কোন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারি।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন।
অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
অস্ট্রেলিয়ান সরকার বিভিন্ন প্রকার শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য তাদের নিজস্ব ভিসা সংস্থা ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড এর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যে কোন প্রকার ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। অবশ্য উক্ত সংস্থা বাংলাদেশি হলেও সেটি অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রসেসিং এর জন্য কাজ করে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।তবে অস্ট্রেলিয়ান ভিসার আবেদনের দুটি উপায় রয়েছে, তা হলোঃ
অনলাইনে আবেদন
আমরা সবাই এখন যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে অনলাইন অপশন খুঁজি। ভিসা পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রেও এর বিকল্প নয়। আমরা এখন খুব সহজেই ঘরে বসে কিংবা আশেপাশের কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে সহজেই অনলাইনে মাধ্যমে যে কোন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারি।
অনলাইনে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
- ধাপ-১ঃ প্রথমে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ান সরকারি ইমিগ্রেশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ( immi.homeaffairs.gov.au/visas/working-in-australia) এ প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সকল প্রকার ভিসার তথ্য এবং আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
- ধাপ-২ঃ ওয়েব সাইটে আপনার নামে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিন এবং যে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান সেটি সিলেক্ট করে আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন এবং ভালোভাবে পূরণ করুন।
- ধাপ-৩ঃ এবার আবেদন ফরমসহ অন্যান্য যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো সংগ্রহ করে ভিসার জন্য নির্ধারিত আবেদন ফ্রি প্রদান করুন।
- ধাপ-৪ঃ ফ্রি প্রধান শেষ হলে আপনার আবেদনটি সাবমিট করুন। আবেদনটি সাবমিট করার মাধ্যমে আপনার ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শুরু হবে যেটি সম্পূর্ণ হতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগতে পারে।
সরাসরি অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার আবেদন
আপনি যদি অনলাইনে ভিসার আবেদন করতে না চান সে ক্ষেত্রে সরাসরি অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস থেকে সরাসরি যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের জন্য বেসোয়েল যোগাযোগ করতে হবে। তবে অনলাইনে আবেদন করাই সহজ এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে গণ্য হয়।অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে?
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার যে কোন ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে তাদের নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং এখানে কিছু যোগ্যতার বিষয় রয়েছে যেগুলো নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ- প্রথমেই প্রয়োজন হবে ভিসার আবেদন ফরম
- আপনার এনআইডি কার্ড এবং সেটি অবশ্যই সত্যায়িত এবং ইংরেজিতে অনুবাদ করতে হবে
- ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট যার মেয়াদ কমপক্ষে 24 মাস থাকতে হবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- এবার চলুন জেনে নেয়া যাক অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ভিসা পেতে আনুমানিক কতদিন সময় লাগে।
অস্ট্রেলিয়া আর কাজের ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?
ভিসার আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে কমন প্রশ্ন হল ভিসা হাতে পেতে কত দিন সময় লাগে। স্বাভাবিকভাবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার সম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ৬ মাস থেকে আট মাস সময় লাগে। এই সময়টুকু আপনাকে ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে।আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করেন এবং সমস্ত ডকুমেন্ট সঠিকভাবে জমা দেন এবং অন্যান্য কার্যক্রম তাদের নির্দেশনা মোতাবেক করে থাকেন তাহলে তথ্যসমূহের মধ্যে আশা করি আপনার ভিসার সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং আপনি ভিসা হাতে পাবেন।
সর্বশেষে একটা ব্যাপার জানার থাকলে সেটা হলো বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত টাকা লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয়?
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার কাজের ভিসার জন্য সর্বমোট ১০ লক্ষ থেকে 18 লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে তবে এক্ষেত্রে ভিসার প্রসেসিং খরচ ভিসার ধরন ইত্যাদির ওপরে খরচ ওঠানামা করতে পারে। অবশ্যই ভিসার আবেদনের আগে সমস্ত তথ্য যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে এবং খরচ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তারপরে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।উপসংহার
সম্মানিত পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি অস্ট্রেলিয়ার কাছের ভিসা সম্পর্কে আপনার যাবতীয় প্রশ্ন এবং উত্তর সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। এর বাইরেও যদি আপনার এই ব্যাপারে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কন্টাক্ট পেজে মেসেজ করুন অথবা কমেন্ট বক্সে আপনার প্রশ্ন করতে পারেন যথা সম্ভব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।তবে ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো বিশ্বস্ত মাধ্যম বা সরকার এজেন্সির মাধ্যমে সবসময় ভিসার আবেদন করবেন এবং আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইন মাধ্যমিকে বেছে নিবেন এতে আপনার ভোগান্তি এবং খরচ দুইটাই কমবে।
Articulate Avenue privacy Policy; check your comments
comment url